স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা ও শারীরিকভাবে আহত করার মামলায় ১০ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট ইন্সপেক্টর কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের কাজী আনু মিয়ার ছেলে কাজী পাভেল, একই গ্রামের কাজী মালন মিয়ার ছেলে কাজী নূরে আলম, কাজী আবু হানিফের ছেলে কাজী শাহনূর, কাজী মনছুর আলীর ছেলে কাজী বশির, কাজী এনায়েতের ছেলে কাজী মনজু ও এমরান, কাজী বজলু মিয়ার ছেলে কাজী জাহিদ, কাজী আবু তাহেরের ছেলে কাজী শাকিল, কাজী ফিরোজ মিয়ার ছেলে কাজী সুবেল এবং আবু জাহের মোল্লার ছেলে বেলাল মোল্লা। এর মধ্যে আসামি এমরান পলাতক রয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি নয়জন আসামি রায় প্রদানের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে অন্য একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সূত্রে কাজী পাভেলকে ধরতে ঘাটুরা গ্রামে তার বাড়িতে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার তৎকালিন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এ সময় কাজী পাভেলের পরিবারের সদস্যসহ কাজী বাড়ির অন্যান্যরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ দুইজনকে আটক করে।
এদিকে ঘটনার দিবাগত রাতেই এসআই মো. নাজমুল আলম বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে সরকারি কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আলামত হিসেবে পুলিশ একটি বল্লম, একটি রামদা, একটি লোহার রড, একটি ছুরি, পাঁচটি টেটা ও কিছু বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ উদ্ধার করে।
মামলার রায়ে উপস্থিত নয়জন আসামিকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ এবং পলাতক আসামী এমরানের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পলাতক আসামি এমরান আত্মসমর্পণ কিংবা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে তার সাজার মেয়াদ কার্যকর হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply